শুক্রবার, ৫ জুন, ২০২০

দৈনন্দিন - ৩

দেখো তোমায় কেমন
সাহস করে লিখছি 
ভাবছি কখন এসে 
দেবে বুঝি বকুনি 
সন্ধ্যারাতের চড়চড় গুঞ্জন 
মৃদু মৃদু কলরবে মুখনি 
অনেক আয়োজন করে
কি যেন বলব 
ভাবছি হয়ত বরাবরে 
আবার ভাট বকছি 
তোমার চোখের গভীরে 
বারবার হারাই
তোমার কথার সুরে 
আমি স্বপ্ন দেখি 
বৃষ্টি নামবে 
সেদিন একছাতায় হাঁটব 
ট্রাফিক সাইক্লোনে 
জর্জরিত নগরী 
কখনো বাড়ি ফিরতে 
হবে মধ্যরাত্রি 
ছোঁব তোমার নিঃশ্বাস 
মুছব তোমার চোখে তৃপ্তি 
ঘুম ভেঙে দেখব 
আসলে আমি একাই সেই
কি যেন কি বলে 
কি যে লিখি 
অজানা ঠিকানায় 
তোমার নামে পাঠাই 
তবু কত কি যেন 
বলা বাকি কে জানে 
হয়তো বলব 
জ্যোৎস্নারাতের উৎসবে


অপ্সরী তুমি কি আমার প্রহর হবে?

অপ্সরী তুমি কি আমার প্রহর হবে? 

তোমার ঠিকানাটা আমার জানা হয়নি,
হয়তো মনটাও।
তবু আমি ভাষা হারাই তোমার চোখে,
আমি গুলিয়ে যাই তোমার কণ্ঠে

কাছে আসার সাধ্যিটাও নেই,
হয়তো গুঁড়িয়ে যাব জীবনের আঘাতে,
তবু একটাবার তোমার প্রিয় হতে চাই

আজও খুঁজে বেড়াই,
মুগ্ধতা নিয়ে ঘুরে বেড়াই,
তোমার শহরের অলিগলি
সরু রাস্তায়, কতশত গোলকধাঁধায়।

জানি
তবু তোমায় পাওয়া হবেনা,
চোখে চোখ রেখে মুগ্ধ হওয়া হলো না
এই শহরেই কিনা হারিয়ে যাই,
কোন গোলকধাঁধায় পথ হারিয়ে,

ক্লান্ত হয়ে শুয়ে শুয়ে গুনব,
অজ্ঞাতবাসের প্রহর,
তবু আমার অকৃত্তিম প্রার্থনার,
শেষ শব্দটিতেও মিশে থেকো তুমি,

অক্লান্ত ছড়িয়ে যেও,
তোমার সুরের হাসিতে আলোয়,
সেই ঝলকেই যে চোখ মুদব আমি,

আমার চোখে তখন থাকুক, 
তোমার প্রিয় হাসি
তখনও হয়তো স্বপ্নে চাইব,
খুব চাইব,

তুমি আসবে,
চোখ গরম করে,
ঠোঁট ফুলিয়ে নেমে আসবে,
ভীষণ শোরগোলে আসবে,
যেমন মরুভূমির রিক্ততা,
সাগর মুহূর্তেই ভাসিয়ে নেয়

আমি তখন স্বপ্নকুমার,
একগাল হেসে গাইব প্রিয় গানটা,
আমি তোমার চোখের কালো চাই

তুমি কি সেদিন তাকাবে আমায়
কাঁপা কাঁপা হাতটা ধরে বলবে
রাস্তাটা না শেষ হোক
নাকি মুখ ঘুরিয়ে চলে যাবে

অপ্সরী তুমি কি আমার প্রহর হবে? 


নিশ্চুপ বিদায়

নিশ্চুপ বিদায় খানিকটা বাংলা খানিকটা বিহারী আর খানিকটা হিন্দি ভাষা মেশানো চিৎকারটা শুনতে পাচ্ছি মোড়ের শেষমাথার বাড়িটার সামনে থেকে। চিৎকারের ...