শুক্রবার, ২৭ মার্চ, ২০২০

অবলোকন - ২

শুনেছো কি তুমি,

আমি সর্বপ্রাণে,

করেছি শিখর আরোহন,

তাই সময় আমায় করছে নির্বাক।।

অগ্নির অহংকার চিরায়ত শুদ্ধতার,

আজ ভঙ্গুরসম,

অশুভ হাতিয়ার বনেছে বলে,

তোমার ক্ষীণ নিনাদে জানি আগুন ছিল,

প্রতিবাদের শুভ্র আগুন,

সে আগুন নিভেনা শত যন্ত্রণারও তোপে।


তোমার দগ্ধ শরীরে,

আমি অস্ফুট কান্না শুনতে পাই,

ঐ পিশাচের রুদ্রমূর্তিতে,

শিষ্ট আজ কোনঠাসা পড়ে রয়,

শুদ্ধতা আজ অস্তিত্বের খোঁজ করে।


সত্য এখন তাই,

দূরে দূরে মুখ লুকায়,

অসহায় বিজিতরূপে,

নিস্তেজ অদম্য ক্ষোভে,

ফিরবেনা সহসা জেনো,

তোমাদের এই প্রহসনের নগরীতে,

মিথ্যের রাজত্বের অপমানে,

তুচ্ছার্থের অভিমানে।



তবু তুমি বেঁচে থাকবে,

যতদিন হাতের ওই মশালটা জ্বলবে,

এবং তুমি বেঁচে থাকবে,

প্রতিবাদের আবাহনে,

তুমি বেঁচে থাকবেই,

তেজদীপ্ত আলো হয়ে,

হ্যাঁ তুমি বেঁচে থাকবেই,

এই ধরণীর ধারক হয়েই,

সত্য,

তুমি বেঁচে থাকবেই,

প্রতিরোধে সাহসের বাঁধ হয়ে৷ 



শুক্রবার, ২০ মার্চ, ২০২০

অবলোকন -১



মুখোমুখি কখনো হবনা তোমার,




স্পর্শটাও হয়ত পাব না তোমার,




তবুও আমার প্রিয় রাজপথে,







চারচাকার অনর্গল আর্তনাদের ভীড়ে,







আনমনেই একটা ছায়াদৃশ্য ভাসে,




একটা হাতটা এসে আমায় থমকে দেয়,



মৃদু পরশে প্রিয় তুমি গন্ধটা বাতাসে ভেসে যায়,




কোথা থেকে যেন ছড়িয়ে যাচ্ছে,



একটা মিষ্টি সুর ,



সেই সুরে আমি চমকে উঠি,



তুমি শব্দটা শুনে,



ঝমঝম এক আলোড়নে হৃদকম্পন বাড়ে,


একটা হাসি যেন আকাশবাতাস কাঁপিয়ে নিচ্ছে,



সে হাসিতেও তুমি গন্ধটা ভেসে আসছে,


আমি কানপাতি


ছমছম আওয়াজের আশায়,


কিন্তু সে আড়ি নিল কোন অভিমানে,


চোখ খুঁজে কাঙখিত অবয়বে,


চোখে চোখ রেখে মন খোলার তাগিদে,



সিগন্যাল ছেড়ে দিল,


গাড়ি চলতে শুরু করল,


তুমি গন্ধটা উড়ে যাচ্ছে


উড়ছে আমি মানুষটাও


নিশ্চুপ বিদায়

নিশ্চুপ বিদায় খানিকটা বাংলা খানিকটা বিহারী আর খানিকটা হিন্দি ভাষা মেশানো চিৎকারটা শুনতে পাচ্ছি মোড়ের শেষমাথার বাড়িটার সামনে থেকে। চিৎকারের ...