শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৯

দৈনন্দিন - ২


ব্যস্ত নগরীর বড় রাস্তাটায় বাধা পড়েছি সেই তখন,
ভাবছি পাব কখন গন্তব্যের দেখা,
ট্রাফিকের অবিচল শব্দবোমাকে ছাড়িয়ে,
আমি শুধু দেখি, শুধাই আমার রূপবতী শহরকে,
চোখভরা মুগ্ধতা নিয়ে মনের ক্যানভাসে,
শহরের ছবিটা আকি নিজের মতন,


এই নগরে জোয়ার নেই, মাটিতে শিকড় নেই,
চিত্তের শ্রান্তি নেই,
তবে আছে কিছু মায়া আর মমতা,
আমরা জেনেছি আর শিখেছি, অবিরাম ছুটে চলা,
চলার পথে কখন কবে নিজেকে হারিয়েছি তা জানিনা,


আছে হন্তদন্ত কিছু পায়ের সশব্দ স্পন্দন,
আছে দাম্ভিক হর্নগুলির বিরতিহীন গর্জন,
এই শহরে যন্ত্র আছে, কিন্তু মন নেই,
যন্ত্রের যন্ত্রণায় মনটাই যন্ত্র হয়ে গেছে,


ফুটপাথগুলোর গল্প শুনতে শুনতে যাচ্ছি,
অবুঝ শিশু কেঁদে যাচ্ছে মায়ের কোলঘেঁষে,
কারো ঠুলিবাধা কানে পৌছুতে পারছেনা সে,


পঙ্গুত্বের অভিশাপ কান্না হয়ে ঝরে যাচ্ছে,
ধূলোভরা শরীরটাকে ঠেলে চলে যাচ্ছে,
মমতা পেলো না কারও,
ফুটপাথটা শত সমস্ত কষ্টের ভার নিয়েছে,


রাজপথ শুয়েছে বুকে রাজার ইতিহাস নিয়ে,
কতশত স্মৃতি অসীম দেয়ালগাথায় লিখছে অবিরাম,


সিটিং বাসে ঝুলতে থাকা ক্লান্তযাত্রীর দীর্ঘশ্বাস,
লাইমলাইটের মায়াবী আলোয়
চকচকে ঘাম ভেসে ওঠছিল,
সেই ঘামে মিশেছিল একচিলতে হাসি,



সুখনীড়ে অপেক্ষায় প্রিয় হাসিমুখ।




মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৯

দৈনন্দিন - ১

শুনি নিয়তির ক্রুদ্ধ নিঃশ্বাস,
চারপাশে ঘুরেঘুরে ফেরত আসে,
আমাদের দৈনন্দিন দীর্ঘশ্বাসে,
নিয়তির করাল গ্রাসে,
কিংবা সময়ের ঘাতপ্রতিঘাতে,
বাস্তবতা অন্য আলোয় সাজে,
সংকটের আগ্রাসনে,
অস্তিত্বের হাহাকার বাড়ে,
সত্বার হাঁপিয়ে উঠার তালে,
দাবা ছকে বাঁধা জীবনে ,
জন্মান্তরের দানবিভ্রাট চলছেই,
অদৃষ্টের আকাশে কালমেঘের ছুটাছুটি,
আত্মগোপনে ছোবলের অপেক্ষায়,
অমাবস্যার শশীর মত অদৃশ্য স্পর্শে,
ইচ্ছেপাখিরা উড়াল দেয় মহাগহবরে,
পথভ্রষ্ট প্রাণহীন কোলাহল ছাড়িয়ে,
হারাতে চাই অনিকেত প্রান্তরে,
তাড়া করব পিছে আপন ছায়ার,
চুকেবুকে যাক সব অনুভূতি শ্রান্ত কায়ার।


বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৯

প্রলাপ - ২

জানো আজ আমি একাই রাতের প্রহর গুনি,
নিশ্চুপ জানালার ধারে বসে থাকি ,
নির্ঘুম চোখে চেয়ে রই তারাভরা আকাশের পানে,
অন্ধকারে হাতরে ফিরি মুহূর্তগুলো প্রবল আকাঙ্ক্ষায়,
স্তব্ধ নিরবতা আমায় ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছে,
তবু আমি খুঁজে যাচ্ছি হারানো অনুভূতিগুলোকে,
আমার সত্ত্বা চঞ্চল প্রবোধকে বাধা দিয়ে যাচ্ছে তবু ,
হৃদয় আজ বাধ মানছে না একদমই,
অব্যক্ত কষ্টগুলো গলার ভেতরে থাকা ক্রোধগুলোকে জাগিয়ে তোলে,
তবু নিশব্দে বসে রই কি যেন পাবার অপেক্ষায়
জানি এ অপেক্ষা ফুরোবার নয়।।।।


নিশ্চুপ বিদায়

নিশ্চুপ বিদায় খানিকটা বাংলা খানিকটা বিহারী আর খানিকটা হিন্দি ভাষা মেশানো চিৎকারটা শুনতে পাচ্ছি মোড়ের শেষমাথার বাড়িটার সামনে থেকে। চিৎকারের ...